রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নারীর সঙ্গে মাদ্রাসা সুপারের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস

নারীর সঙ্গে মাদ্রাসা সুপারের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস

স্বদেশ ডেস্ক:

ভোলার চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোহাতাহার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফকর উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর অশ্লীল কথোপকথনের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে আবরান তাহসান তরিক নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে নারীর সঙ্গে মাদ্রাসা সুপারের ফোনালাপের ১৩ মিনিটের অডিও রেকডিং পোষ্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় সমোলাচনার ঝড়।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার চরফ্যাসন উপজেলার সব মাদ্রাসার সুপার ও সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত জমিয়াতুল মোর্দারেছিন চরফ্যাসন শাখার সদস্য পদ থেকে ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফকর উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামরুজ্জামান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই অডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করে জানা যায়, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফকর উদ্দিন ওই নারীর সঙ্গে এক সময় কুয়াকাটার একটি হোটেলে নিয়ে রাত্রিযাপন করেছেন। তার সঙ্গে আবারো শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চান বিনিময়ে তাকে স্মার্টফোন উপহার দেবেন।

মুঠোফোনে তাদের রোমান্টিক মুহূর্তের কথা শুনে বোঝা যায়, ওই নারীর সঙ্গে তার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। এ ছাড়া ওই নারীর বোনের সঙ্গেও হয়েছে তার শারীরিক সম্পর্ক। কিন্ত তিনি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে বেশি আনন্দ পেয়েছেন। এজন্য আবারো তার সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক করতে চান।

অডিওতে মাওলানা ফকর উদ্দিনকে ভালোবাসা দেওয়ার প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল আপত্তিকর ফোনালাপ করতে শোনা যায়। ওই নারীকে তার মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য অনুরোধও করেন তিনি।

মাওলানা ফকর উদ্দিন বলেন, ‘নারীর সঙ্গে আমার ফোনালাপের অডিও রেকর্ডিং আমি শুনেছি। স্থানীয় মন্নান মিয়ার ছেলে রনির সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে তাই প্রতিপক্ষ আমাকে ঘায়েল করতে এডিট করে ওই অডিও ক্লিপটি করেছে। তবে কিছু দিন আগে আমার ফোন হারিয়ে যায় ওই ফোন থেকে আমার ভয়েজ নিয়ে এডিট করে ওই অডিও ক্লিপ করা হয়েছে বলে আমার ধারণা। কোনো নারীর সঙ্গে আমার এমন ফোন আলাপ হয়নি। আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আমি মামলা দায়ের প্রস্ততি নিচ্ছি।’

চর মোতাহার দাখিল মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মাদ্রাসা সুপারের বিষয়টি তাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। অডিও ক্লিপটি শুনে আসল রহস্যে বোঝা যাবে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877